রাষ্ট্রীয় জালানি প্রতিষ্ঠান যমুনা, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করে। মানুষের চাহিদার ২ পার্সেন্টও পুরণ করতে পারেনা। সিলেটের ডেপুটি ম্যানেজার ডিএমও আবু মনসুর মজুমদারের দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা, উর্ধ্বতনের নির্দেশনা আগ্রহ্য সহ ব্যাপক অনিয়মের কারনে জনদুর্ভোগ আজ চরমে। ৩ বছরের বেশি সময় হলেও তার সিন্ডিকেট, ক্ষমতার দাপট তিনি বহাল তবিয়তে। ৫ আগষ্টের পর ও যারা যমুনায় সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের তিনি মেনেজ করেই বহাল আছেন। দুর্নীতি, হয়রানি, নিপীড়ন, ক্ষমতা অপব্যবহার অভিযোগ তুলে সিলেট বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ও পট্রোলিয়াম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল ৪ মে রবিবার এক সভা করে তারা এই হুশিয়ারি দেন।
খোজ নিয়ে জানা যায় গত সাপ্তাহে এক গাড়ি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার গায়েব হয়ে যায় তার যোগসাজশে। দেশের জ্বালানি খাতের এই কান্ডে তোলপাড় শুরু হলে স্হানীয় যমুনার ডেপুটি ম্যানেজার আবু মনসুর মজুমদার দায় এড়ানোর নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যাস্ত। এখনও কোন তদন্ত কমিটি হয়েছে কিনা জানা যায়নি। এ ভাবেই বিগত তিন বৎসর থেকে এ খাতে চলছে শত শত কোটি টাকা লুটপাট, আবু মনসুরের দুর্নীতি। স্বৈরশাসকের বিগত দুই বছর কোন প্রকার জবাব দিহিতা ছাড়াই কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। সব কিছুতেই যেন লুকুছুরি, কাউকে কিছু জানাতে চাননা। ডিলার গ্রহক সাংবাদিক কারো ফোন ধরেননা তিনি। বিপিসির চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে যমুনার উধ্বর্তন সহ কাউকে পাত্তা দেননা তিনি। সচেতন মহলের দাবী অন্তর্বতী সরকারের ইমেজ ক্ষন্ন হচ্ছে। সরকার বিগত ২০ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রঙ্গাপনে বলেছেন কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের শ্রুতি বা অভিযোগ উটলে তদন্ত করতে হবে। ব্যবস্হা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয় এই আদেশে।