সিলেট উত্তর ভ্যালী মুন্ডা সংগঠনের উদ্দ্যোগে মুন্ডা জনগোষ্ঠীর খেলোয়াড়দের অংশগ্রহনে ফুটবল ম্যাচের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার দলদলি চা বাগান মাঠে আয়োজিত ফাইনাল খেলায় ট্রাইবেকারের মাধ্যমে কটারগুল পোড়াবাড়ি ইসলামপুর দলকে হারিয়ে দলদলি চা বাগান দল বিজয়ী হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডা: মোঃ খলিলুর রহমান।
এডভোকেট এএইচএম জাফর চৌধুরী বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সিলেট উত্তর ভ্যালী মুন্ডা সংগঠনের সভাপতি বিকাশ রঞ্জন মুন্ডার পরিচালনার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬নং টুকের বাজার ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও মেম্বার আবুল কাসেম চৌধুরী খালেদ, দলদলী চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মিন্টেন দাস মিন্টু, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌতম দাস, হরিচরণ দাস, ডাক্তার রিপন কুর্মি, জুম্মান লুসাই স্পোটর্স একাডেমীর হেড কোচ শরীফ আহমেদ, হিমু ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এমএ সালমান হিমু, জুম্মান লুসাই স্পোটর্স একাডেমীর সাধান সম্পাদক মোঃ বাবুল হুসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসুদেব মুন্ডা, মনোরঞ্জন দাস, সঞ্চিত চন্দ, অর্জুন মন্ডা, রিপন মুন্ডা, রজুলাল মুন্ডা শিপু, সুবেন মুন্ডা, শিবাজ মুন্ডা, গোদীন্দ মুন্ডা, মহুন্দ মুন্ডা, সিবরাম মুন্ডা, শিপন মুন্ডা, মিলন মুন্ডা, শ্যামল মুন্ডা, আকাল মুন্ডা, সুবাষ মুন্ডা, স্কুল মুন্ডা, অমিত মুক্তা, সান্তা মুন্ডা, মলিন মুন্ডা, গবিন্দ রায়, সঞ্জয়, স্বপন, নিপু, দিগন্ত, জংলু মন্ডা, কৃষ্ণ মুন্ডা প্রমুখ।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। ক্রীড়া মনকে আনন্দ দেয় এবং শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। খেলাধুলা সমাজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা মানুষের মনকে সতেজ করে তোলে। তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম যত বেশি খেলাধুলায় অংশ করবে ততটাই তাদের মনমানসিকতা আরো ভালো হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ হবে এবং নিজেদের আরও বেশি তৈরি করতে পারবে।’ সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিতে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ও সবল রাখবে। তাই দেশের খেলাধুলাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।