বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে আহবান জানিয়েছেন এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ। গত ২৮ মে এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের সমন্বয়নে সিলেট বিভাগীয় কমিটির অনুমোদন করে। সেই ধারাবাহিকতায় সিলেট বিভাগীয় কমিটি বিভাগের অধিনস্থ সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ কমিটি অনুমোদন করে। আর শীঘ্রই মৌলভীবাজার কমিটি অনুমোদন করে এসোসিয়েশন ‘বিএমজেএ সিলেট বিভাগীয় সম্মেলন’র আয়োজন করতে যাচ্ছে। কমিটির অনুমোদনের পর সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সকল সদস্যদের জন্য ঈদ উপহার ও ঈদ ভ্রমনের আয়োজন করে। এসোসিয়েশনের বিভাগীয় কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির সহযোগিতায় আগামী ২১ জুন শনিবার সিলেটে মাল্টিমিডিয়ার উপর জ্ঞান প্রদানের জন্য বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে। দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবেন চ্যানেল আই’র স্টাফ রিপোর্টার আক্তার হাবিব ও প্রথম আলো’র স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এই মুহুর্তে সিলেটের সাংবাদিকদের নিয়ে যে সংগঠনটি কাজ করছে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটি। যারা এসোসিয়েশন নিয়ে অপপ্রচার করছেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই। চায়ের দোকানে আড্ডা বসে কমিটি গঠন করা আর কেন্দ্র থেকে কমিটি অনুমোদিত হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। একটি মহল হিংসাত্ম মূলক মনোভাব নিয়ে এসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসোসিয়েশনের সকল সদস্যবৃন্দ গত ১৪ জুন দুপুরে সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওয় ঈদ উল আযহার আনন্দ ভ্রমণে যান। ভ্রমনের যাত্রাকালে শুভকামনা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। ভ্রমণ শেষে ১৫ জুন রাতে সিলেটে ফিরেন সদস্যরা। এই ভ্রমণ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভ্রমণে বাবার সাথে ছেলে ছিলেন, স্বামীর সাথে স্ত্রী ছিলেন ও সিলেটের অনেক গুণী সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাই তাদের কথা মাতায় রেখে আপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ। যদি এসোসিয়েশনের সদস্যদের নিয়ে কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়া অপপ্রচার করেন তার পরিনাম ভালো হবে না। এসোসিয়েশনের সদস্যরা উড়ে এসে জুড়ে বসে নি, কেউ বহিরাগত নয়। সবাই এই শহরের সন্তান, তারা জানে কিভাবে দুস্কৃতিকারীদের শায়েস্তা করতে হয়। বিএমজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটি কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ছিনতাইকারী, তেলবাজ, সন্ত্রাসীদের সংগঠন নয় এটি হচ্ছে মাঠের পেশাধার সাংবাদিকদের সংগঠন। তাই বুঝে শুনে কথা বলবেন। কথা বলে ছোটদের কাছে নিজের ইজ্জত হারাবেন না। কারণ এরা জানে আপনি কি, কিভাবে সিলেটে এসে মানুষকে হয়রাণী করেছেন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। কিভাবে নিরপরাধ সংবাদকর্মীদের আওয়ামী লীগের প্রশাসনকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে গ্রেফতার করিয়ে নির্যাতন করিয়েছেন, মাসের পর মাস কারাগারে রেখে ছেন। সিলেটে এসে যে ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজের আত্মীয়ের বাসা দখল করে, অনেকেই তার উস্কানীতে কথা বলছেন। এবার হুশিয়া করছি, পরের বার আর হুশিয়ারি নয়, সরাসরি আইনী ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা নিজেদের উন্নয়নে কাজ করছে না। সিলেটের সংবাদকর্মীদের কল্যাণে কাজ করছে। সর্বপরি যারা ছোটদের উৎসাহিত করতে জানেন না তাদের বলবে কথা বলে নিজের ইজ্জত হারাবেন না, চুপ থাকুন সেটাই ভালো। ধন্যবাদ
আহবানে :
বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ)
সিলেট বিভাগীয় কমিটি।